‘কোনো শিল্পীই বসে ছিল না’

চলতি প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী সোমনুর মনির কোনাল। সিনেমার গানকেই বর্তমানে তিনি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এরমধ্যে বেশকিছু নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মাণাধীন একটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন তিনি। চলচ্চিত্রের গান নিয়েই কি বেশি ব্যস্ত? কোনাল বলেন, আসলে সিনেমায় গান গাইতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এটা তো সবার কাছেই স্বপ্নের ব্যাপার। প্রতিটি শিল্পীর স্বপ্ন থাকে সিনেমায় গান গাওয়ার। এখন যেহেতু গান গাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন কী গান দেয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবছি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পথচলা শুরু করেছেন কোনাল। সম্প্রতি জার্মান সংগীত পরিচালক রবার্ট বার্থার সংগীত পরিচালনায় ‘থ্রো দ্য টাইগার্স আই’ শিরোনামে তার গাওয়া একটি গান প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত এ গানে বাংলাদেশ, জার্মানি, স্পেন, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, মাল্টা, ব্রাজিল ও পোল্যান্ডের ১০ দেশের ১০ শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন কোনাল। গানটির বাংলা ভাষার অংশটিও (চার লাইন) লেখা এ গায়িকার। গানটি থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? কোনাল বলেন, খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। এটা অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা। স্বাধীনতার মাস মার্চকে সামনে রেখে গানটি নিয়ে সংগীত পরিচালক রবার্ট বার্থার অনেক পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। করোনার কারণে ছোট পরিসরেই সেসব আয়োজন হবে। দেশ ও দেশের বাইরে কনসার্ট হবে। এক্সিবিশন হয়েছে। একটা বই বের হচ্ছে। আরো অনেক কিছুর পরিকল্পনা আছে। কনসার্টে ফিরেছেন অনেক শিল্পী। আপনার কি অবস্থা? কোনাল বলেন, আব্বা চলে যাওয়ার পর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। স্টেজেও সরব হচ্ছি ধীরে ধীরে। সামনে বেশকিছু শো আছে। করোনায় শিল্পীদের ভূমিকা কেমন ছিল? কোনাল বলেন, শিল্পীরা অনেক ভূমিকা রেখেছে, এখনো রাখছে। কোনো শিল্পীই বসে ছিল না। গান গেয়েছে অবিরাম। করোনা নিয়েও অনেক গান হয়েছে।