সিলেটে একই পরিবারের ১৩জন আহত, নিহত ১

নাদিম আহমদ সাগর (১৯)। মেডিকেল কলেজে ইনর্টানি করছিলেন । পরিবারের সাথে ঢাকার ওয়ারী থেকে সিলেটের দুই ওলি হযরত শাহজালাল (রহ) ও শাহপরান (রহ) মাজার জিয়ারতে আসছিলেন। সেই সাথে ইচ্ছে ছিল সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখবেন। এই আশা নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে লন্ডন এক্সপ্রেস বাসে রাত সাড়ে ১১টায় উঠেছিলেন। কিন্তু নাদিম আর সিলেট আসতে পারেনি। পথিমধ্যে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান । এই ঘটনায় একই পরিবারের আরও ১৩জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- সাগরের মা চান বিবি (৬০), বোন-শিমা বেগম,শাম্মা, সুমনা (৩০)সেলিনা পারভীন (৩০), রিনা বেগম,এমেলি। ভাইয়েদের মধ্যে-জসিম উদ্দিন,রাজ আহমদ,ডা.জাহিদ হাসান,আকাশ, বোন জামাতা আলী হোসেন, মিশু আলমগীর। নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, মা-ভাই-বোন ও বোন জামাতাদের নিয়ে সিলেটে মাজার জিয়ারতে আসছিলাম।ছোট ভাই সাগর ইন্টার্নি শিক্ষার্থী। মা-বোনের মানত ছিলো এই জায়গায়। তাই সিলেট আসা। তিনি আরও বলেন,রাস্তায় বেশ কয়েকবার গাড়ির চালকে ধীরে চালানোর জন্য বলি।কিন্তু কারো কথা শুনেনি। তাছাড়া গাড়িতে উচ্চ আওয়াজে গান বাজিয়েছেন চালক। উল্লেখ্য- সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দুইবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর বাজার এ এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রশিদপুরের দুদিকে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে সব ধরণের যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা গেছে, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি হচ্ছে- ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১)।