রাজনগরে ব্যবসায়ী হত্যা : তিনজন গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজনগর থানার পুলিশ। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিমের নেতৃত্বে রাজনগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজনগর উপজেলার আমিরপুর এলাকার মৃত জসিম মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া (২৪), উত্তর ঘরগাঁত্ত গ্রামের রনজিত দেবের ছেলে রবেন্দ্র দেব (৩৬) ও আমিরপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৮)। নিহত ব্যবসায়ীর নাম লক্ষণ পাল। তিনি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন পালের ছোট ছেলে। জানা গেছে, হত্যার পর ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা মেবাইল ফোন ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এর আগে গত শুক্রবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া এলাকায় রাজনগর-কর্ণিগ্রাম সড়ক থেকে পুলিশ ব্যবসায়ী লক্ষণ পালের লাশ উদ্ধার করে। মৃতের গলায় দড়ির দাগ, চোখে-মুখে বালু ও পায়ের উরুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরের সেন্ট্রাল রোডের ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল প্রতি শুক্রবারের ন্যায় গত শুক্রবার রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে যান। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আজাদের বাজার এলাকার বিকাশ ভট নামের এক ব্যবসায়ী সর্বশেষ তাকে মৌলভীবাজারগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক অটোরিকশাচালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া এলাকায় রাজনগর-কর্ণিগ্রাম সড়কের পাশে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্তের মৃতের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। পরে শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে স্বজনরা রাজনগর থানায় গিয়ে মৃতদেহটি লক্ষণের বলে শনাক্ত করেন। তার স্ত্রী ও ৩ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসেম বলেন, 'বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধকরণের জন্য আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'