পর্তুগালে বেকারত্বের হার বাড়তে থাকায় বেড়েছে অপরাধ

করোনাকালে অপরাধ বেড়েছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে। বিশেষ করে পর্তুগালে বেকারত্বের হার বাড়তে থাকায় বেড়েছে অপরাধ ।বেকারত্বের হার দিনদিন বাড়তে থাকায় চুরি, ছিনতাইসহ বেড়েছে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা। বিশেষ করে রাজধানী লিসবনে যারা খাবার ডেলিবারির কাজ করে থাকেন সবচেয়ে বেশি চুরি ও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন তারা ।এ ছাড়া অনেক বাংলাদেশী দোকানে ক্রেতা সেজে দোকান থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ও অভিযোগ শোনা গেছে ।করোনায় শতকরা ৯০ ভাগ বাংলাদেশীদের কাজ চলে যাওয়ায় সবাই খাবার ডেলিবারির কাজে যোগ দিয়েছেন, আর তার মধ্য বেশির ভাগই ইলেকট্রিক বাইসাইকেল দিয়ে ।করোনায় রাতে মানুষের চলাচল কম হওয়ায় অনেকে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন আবার ব্যাপকহারে অনেকের সাইকেল চুরি হওয়ার ও খবর শোনা যায়। এ বিষয়ে নুনু মিয়া নামের একজনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান করোনার কারনে কাজ চলে যাওয়ায় ইলেকট্রিক বাইসাইকেল দিয়ে ডেলিবারির কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু লিসবনের অলাইস নামক স্থান থেকে তাহার বাইসাইকেল চুরি হয়ে গেছে ,খাবার ডেলিবারি দিয়ে নিচে এসে দেখেন কে বা কাহারা তালা ভেঙ্গে সাইকেল নিয়ে চলে গেছে ।তিনি বলেন লিসবনের গ্রাসা,অলাইস আলফামা নামক স্থান থেকে অনেক বাংলাদেশিদের বাইসাইকেল চুরি এমনকি ছিনতাইর শিকার হচ্ছেন তারা। আমাদের উচিত এসব জায়গায় গেলে সতর্কতা অবলম্বন করা । লিসবনের খায়রুল আলম রাজা নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান প্রায়ই ক্রেতা সেজে অনেক চুর দোকানে প্রবেশ করে একটু অমনোযোগী হলেই তারা মালামাল লোকিয়ে নিয়ে যায় তবে তার দোকানে সিসি ক্যামেরা তাকায় অনেক বার চোর ধরতে সক্ষম হয়েছেন তিনি । এ অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সব ব্যবসায়ীকে সতর্ক হয়ে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি । এ বিষয়ে রিফাত রাশিদ নামের একজন জানান করোনার ফলে বিশেষ করে রাতে লিসবনের শহরটা অনেক ফাঁকা ফলে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধী চক্র। সাথে যোগ হয়েছে কাজ হারানো কিছু মানুষের চুরি-ছিনতাইয়ের প্রবণতা।যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটা তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাইকে সতর্ক হয়ে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি ।