ঝোড়ো ফিফটির পর ফিরলেন সৌম্য

বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ১৬ ওভারে করতে হবে ১৭০ রান। নেপিয়ারে বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ ওভারে ১০০/২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ৩০ বলে ৭০ রান।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লিটন দাস ফিরেছেন ৫ বলে ৬ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। ৮১ রানের জুটি গড়েন দু’জন। ২৭ বলে ৫১ রান করার পর টিম সাউদির শিকার হন সৌম্য।

নেপিয়ারে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ।

১১১ রানে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিলেও শেষ দিকে খেই হারান বাংলাদেশের বোলাররা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৭.৫ ওভারে ১৭৩/৫ রান তুলতেই বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর নিউজিল্যান্ড ইনিংসের সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৭০।


টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। আক্রমণে এসেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ফেরান ফিন অ্যালেনকে (১০ বলে ১৭) এরপর সাইফ উদ্দিনের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে মার্টিন গাপটিলকে (১৮ বলে ২১) সাজঘরে পাঠান তাসকিন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা শরিফুল ইসলাম ব্যাক্তিগত প্র্রথম ওভারের প্রথম বলেই কনওয়েকে (৯ বলে ১৫) ফেরান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন ১৯ বছর বয়সী এই পেসার। চতুর্থ উইকেটে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দিতে থাকে গ্লেন ফিলিপস-উইল ইয়ং জুটি। ইয়ংকে (১৭ বলে ১৪) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন শেখ মেহেদি।
এই অফস্পিনারের জোড়া শিকারে পরিণত হন মার্ক চাপম্যান (৮ বলে ৭ রান)। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ঝড় তোলেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। দু’জন যোগ করেন ২৭ বলে ৬২ রান। ৩১ বলে ৫৮ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। আর ১৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল।

ইনজুরি থেকে সেরে না ওঠায় এই ম্যাচেও মাঠে নামা হয়নি মুশফিকুর রহীমের। একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান তাসকিন আহমেদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ১৭.৫ ওভারে ১৭৩/৫ (গাপটিল ২১, অ্যালেন ১৭, কনওয়ে ১৫, ইয়াং ১৪, ফিলিপস ৫৮*, চাপম্যান ৭, মিচেল ৩৪*; নাসুম ৪-০-২৫-০, সাইফ ৩-০-৩৫-১, তাসকিন ৩.৫-০-৪৯-১, শরিফুল ৩-০-১৬-১, মেহেদি ৪-০-৪৫-২)।