লকডাউন’ নয়, নিষেধাজ্ঞা!

করোনার রূপ গতবারের চেয়ে এবার ভয়াবহ হলেও সাধারণ ছুটির কথা এখনই বিবেচনা করছেন না সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপাতত কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সুপারিশসংবলিত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গতবারের সাধারণ ছুটির মতো এবারও যাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না হয়, তার জন্য ব্যবসায়ী মহলের চাপ আছে। তারা যুক্তি দিচ্ছে, মহামারিতে সব বন্ধ করা সমাধান নয়। প্রথমবার বিশ্বব্যাপী বিষয়টি নতুন হওয়ায় বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়। জরুরি সেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখায় সেটা ‘লকডাউন’ বলা হয়েছিল। এরপর শিল্প-বাণিজ্যক্ষেত্রে সরকারের বিপুল ভর্তুকির কারণে বড় সমস্যা হয়নি। এবার আবারও সাধারণ ছুটিতে গেলে যে ক্ষতি হবে, তা পোষাতে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার সেই সক্ষমতা থাকবে না।

একজন কর্মকর্তা বলেন, গতবার সরকারের মজুদে প্রচুর চাল ছিল। সাধারণ ছুটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ অনেকটা স্বস্তি দিয়েছিল। এবার সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় চাল নেই। রমজান উপলক্ষে ভিজিএফ কার্যক্রমের জন্য চালের বদলে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাই এখন ‘লকডাউনে’ গরিব মানুষ কিভাবে চলবে? সরকারকে বিষয়টি বড় করে ভাবতে হচ্ছে।

শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞার’ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রায় সব কিছু গত বছরের মতোই হবে। তবে সাধারণ ছুটি হবে না।

 

বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সায় পেলে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। আপাতত এই সিদ্ধান্তই থাকতে পারে।