সিলেটে ৭ মাসের মধ্যে রেকর্ড ১২৯ জন শনাক্ত

সিলেট বিভাগে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নতুন করে ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা গত বছরের আগস্ট মাসের ২১ তারিখের পর সর্বোচ্চ। ওইদিন ১৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সিলেটের ৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১০১ জন, সুনামগঞ্জে ৫ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ২৩ জন রয়েছেন।

সিলেটে করোনা শনাক্তের এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত সোমবার। প্রথম দিকে সারাদেশের মতো শনাক্তের সংখ্যা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এ সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে গত বছরের জুনে। এ মাসে ৩ হাজার ৫৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে এর পর থেকে আবারও কমতে থাকে সংক্রমণের সংখ্যা। সংক্রমণ কমে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে দাঁড়ায় মাত্র ৩০৩ জনে। কিন্তু মার্চের শেষ ২ সপ্তাহ থেকে সিলেটে আবারও বাড়তে থাকে শনাক্তের পরিমাণ। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৪ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৮৬ জনে। আর এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে শনাক্ত হয় ৪০৫ জনের। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত হচ্ছে ৮১ জন করে। যেখানে গত মার্চে প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত ছিল ৩৮ জনে। এবস্থায় সাধারণ জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। 

এদিকে গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন। গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভাগে ২২৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যা গত প্রায় ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ৭ জুলাই সকালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২৩৪ জন।  

মঙ্গলবার রাতে শনাক্তদের মধ্যে শাবির ল্যাবে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ইনচার্জ হাম্মাদুল হক জানান, মঙ্গলবার শাবির ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলার ৪৭ জন, সুনামগঞ্জের ২ জন এবং হবিগঞ্জ জেলার ১৫ জন রয়েছেন। 

 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, মঙ্গলবার ওসমানীর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলার ৪২ জন, সুনামগঞ্জের ৩ জন, এবং মৌলভীবাজার জেলার ৮ জন রয়েছেন। গতকাল সিলেট বক্ষব্যাধী হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট মেশিনের সিলেট জেলার আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফাতেমা ইয়াসমিন।