ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত

দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তাণ্ডবের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পুলিশও হেফাজত কর্মীদের পক্ষ নিয়ে ওই ছাত্রনেতাকে হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে থানার ওসির নির্দেশে তারা ওই ছাত্রনেতাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে তার পরিচয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

মিথ্যা অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে হেনস্থার ঘটনায় ধর্মপাশা থানার এসএসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই জহিরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।

জানা গেছে, ধর্মপাশার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হাসেম আলমের মাদরাসাপড়ুয়া পুত্র আল মোজাহিদ নিজ এলাকার বাসিন্দা ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা আফজল খানের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশের প্রতিশোধ নিতে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ আনেন। জয়শ্রী বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে হেনস্থা করেন তিনি। এ সময় খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে এসএসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই জহিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও তার উত্তেজিত সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাাতিক সম্পাদক ও এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল খানের হাতে হাতকড়া পরান। পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সামনেই তাকে হাতকড়া পরা অবস্থায় করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। পরে হাতকড়া পরিয়েই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযুক্ত আল মোজাহিদ জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের ছেলে। আবুল হাসেম স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের গোষ্ঠীর চাচা। তিনি একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

 

এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিলোয়ার হোসেন বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে।' এরপর আর কিছু বলতে না চেয়ে তিনি কল কেটে দেন।'