চিঠির জবাব দিলেন মির্জা আব্বাস

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়া নিয়ে ব্যাখা চেয়ে দলের দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

 
 

তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পরদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবুও দল তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। সরকার ও সরকার সমর্থক গণমাধ্যমের বক্তব্যের সঙ্গে মিল রেখে কথা বলে যাচ্ছে দল। কিন্তু তার বক্তব্য অনুধাবন করেনি, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। 

জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি কখনও বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কাজ করিনি। দলের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি নিরসলভাবে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ৪৩ বছরে তার সামনে বিএনপি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছেন। তারপরও ৪৩ বছর পর এই প্রথম একটি বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হয়েছে। 

আব্বাসের ঘনিষ্ঠ এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, ইলিয়াস আলীকে নিয়ে তিনি (আব্বাস) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উদ্দেশ্যমূলক নয়। তিনি যেটা মনে করেন সেটাই বলেছেন। চিঠির জবাবেও সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন। 

কয়েকদিন ধরে ইলিয়াস আলী নিয়ে মির্জা আব্বাসের বক্তব্যে বিএনপির ভেতরে আলোচনা চলছে। দলের তৃণমূল নেতাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত ও ত্যাগী’ বলে পরিচিত আব্বাসের এই বক্তব্যকে প্রায় সবাই তার স্বভাসুলভ সরল মনের বক্তব্য বলেই মনে করছেন। এর সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্র তারা খুঁজে পায়নি। তবে দলের স্থায়ী কমিটির কয়েক সদস্য বিষয়টি নিয়ে বেশি ঘাঁটছেন। 
  
১৭ এপ্রিল দলের ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ইলিায়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি জানি, আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি। তাহলে গুমটা কে করল? এই সরকারের কাছে এটা আমি জানতে চাই।’ 
ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার আগের রাতে দলের কর্যালয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মারাত্মক বাকবিতণ্ডা করেন বলে বক্তব্যে জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বিএনপির মহাসচিবের প্রতিও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের পেছনে দলের অভ্যন্তরে লুকায়িত ‘বদমায়েশগুলো’কে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন

 

এর আগে এম ইলিয়াস আলী ‘গুম’ হওয়ার ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে মির্জা আব্বাসকে চিঠি দেন।