টিকায় সবার সমান হয় না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বেশির ভাগ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। করোনা ভাইরাসের টিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে, এই টিকা দেয়ার ফলে টিকা দেয়ার স্থানে ব্যথা হতে পারে, ক্লান্তিবোধ হতে পারে, মাথাব্যথা হতে পারে, জ্বর হতে পারে অথবা বমি বমি ভাব হতে পারে। এগুলো হলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যে কাজ করছে তার লক্ষণ। এমনটা হওয়া উচিতও। এর ফলে অনেকে মনে করে থাকেন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করছে। আবার এমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়ায় অনেকে ভেবে থাকেন যে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করছে না। বাকিরা এর কোনোকিছুই মনে করেন না।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন সায়েন্স এলার্ট। এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ফাইজার দেখতে পেয়েছে যে, ট্রায়ালের সময় বা পরীক্ষার সময় শতকরা ৫০ ভাগ অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি, যদিও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে মডার্নার টিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জনে একজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এই টিকা শতকরা ৯৫ ভাগ স্বেচ্ছাসেবীকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এসব বিষয় নির্ভর করে যখন টিকা দেয়া হয় তখন তা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে তার ওপর। বেশির ভাগ করোনা ভাইরাসের টিকা, এখন পর্যন্ত যেগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেগুলো সহ বেশির ভাগ করোনা ভাইরাসের বহিঃআবরণের ওপর ভাইরাল প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইকের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই স্পাইকের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে লড়াই শুরু করে টিকা। এর ফলে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। জ্বর হতে পারে। শরীর ব্যথা হতে পারে। টিকা দেয়ার একদিন বা দু’দিন পরে এমনটা দেখা দিতে পারে।