দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আটক ৬

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মো. নূর আলম (১৮) নামক এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার ( ৫ জুন ) দুপুরে তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নুর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্প গ্রামের অধিবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ নুর আলম হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২১), তার ভাই জহিরুল ইসলামকে (২৭) লক্ষীপুর থেকে, আব্দুস ছাত্তারের ছেলে সুজন মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (২২), মমশর আলীর ছেলে উমর গনি (২৫) ও ওসমান গনিকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজির আলম বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। ' আটক কামরুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমেদর আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারগারে পাঠানো হয়েছে। আটক অন্যদের রোববার আদালতে তোলা হতে পারে। সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, 'গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।' উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে ফসলি জমি থেকে মো. নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নুর আলম পশ্চিম বাংলাবাজারে একটি রেঁস্তোরা ব্যবসা পরিচালনা করতো। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার সকালে নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।