ড. ফাউচি ও চীনের নিন্দা, আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

করোনা মহামারী মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, অ্যান্থনি ফাউচি বড় মাপের একজন ডাক্তার হিসেবে নন, তিনি টেলিভিশনে বারবার একজন প্রমোটার হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন। নর্থ ক্যারোলাইনায় এক ভাষণে ট্রাম্প চীনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ ছাড়া তার আর্থিক বিষয়ে যে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র, তার নিন্দা জানান। একইসাথে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেরার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নর্থ ক্যারোলাইনায় গ্রিনভিলে রিপাবলিকান পার্টির রাজ্য কনভেনশনে বক্তব্য রাখছিলেন ট্রাম্প। দলের অন্য রাজনীতিকরা ড. অ্যান্থনি ফাউচির সমালোচনা করেছেন। কারণ, ফাউচি মার্কিনিদেরকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকার জন্য মুখে মাস্ক পরার অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া ডনাল্ড ট্রাম্প চীনের উহান গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে যে দাবি করেছিলেন, তার সঙ্গে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ফাউচি। এ জন্য রিপাবলিকান দলে তার কড়া সমালোচনা। সেই সমালোচনার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি ফাউচির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। বলেন, তিনি প্রতিটি ইস্যুতে ভুল করছেন। উহান এবং সেখানকার গবেষণাগার ইস্যুতেও তিনি ভুল অবস্থান নিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে চীনকে। চীনের কাছে ঋণ আছে যেসব দেশের তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান ওই ঋণ পরিশোধ না করতে। করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা গেছেন। ট্রাম্প নিজেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ সময়ে করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগ। এমনকি তিনি নিজে এবং হোয়াইট হাউজের স্টাফদের মুখে মাস্ক ছিল না দীর্ঘ সময়। এসব কারণেই ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে তিনি হেরে গেছেন। সম্মেলনে নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান পার্টির চেয়্যারম্যান মিচেল ওয়াটলি ট্রাম্পকে ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প ভিত্তিহীন দাবি করেছেন যে, ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বিরোধী পক্ষ তার কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। এটা এই শতাব্দীর একটি অপরাধ। তবে তিনি ভোট চুরির অভিযোগের পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। উপরন্তু ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ক্ষমতার একেবারে শেষ সময়ে তাকে কংগ্রেসে অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, তার বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের এটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে যে অপরাধ বিষয়ক তদন্ত শুরু হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক। তিনি আরো বলেন, যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ডেমোক্রেটরা তাকে দু’বার অভিশংসনের ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। তারাই এখন তার বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের ভাষায়, তারা বছরের পর বছর ধরে হিংসার বশবর্তী হয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে।