কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফল জুলাইয়ে

ভারত বায়োটেক আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে জুলাইয়ে। এরপরই তারা ভারত সরকারের কাছে এই টিকার পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স চাইবে। একই সঙ্গে তারা বাস্তব জগতে এই টিকা কতটা কার্যকর সে বিষয়ে আরো পরীক্ষা চালাবে। তবে হায়দরাবাদ ভিত্তিক এই কোম্পানি এরই মধ্যে দাবি করেছে, সবার ক্ষেত্রে এই টিকা শতকরা ৭৮ ভাগ কার্যকার দেখিয়েছে। অন্যদিকে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর দেখা গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে আরো বলা হয়, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ডাটা ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে জমা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ডাটা জুলাইয়ে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। ওদিকে সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া উৎপাদিত এস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের সঙ্গে কোভ্যাক্সিনের তুলনা করা হয়। তাতে বলা হয়, কোভ্যাক্সিনের চেয়ে বেশি এন্টিবডি তৈরি করে কোভিশিল্ড। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ভারত বায়োটেক। তারা বলেছে, এ বিষয়টি কোনো ‘পিয়ার’ পর্যালোচনা বা পরিসংখ্যানগত বা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে বলা হয়নি। বিষয়টি এখনও ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অনুমোদিত নয়। ভারত বায়োটেকের ব্যবসা উন্নয়ন ও পরামর্শ বিষয়ক প্রধান র‌্যাচেস ইলা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এমন ‘পিয়ার রিভিউ’ ছাড়া কর্মকা-ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে? উল্লেখ্য, সর্বশেষ পর্যায়ের পরীক্ষার ফল পুরোপুরি না পাওয়া সত্ত্বেও দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচিতে ‘জনস্বার্থে’ ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। র‌্যাচেস ইলা বলেছেন, বাস্তব জগতে কার্যকারিতার চতুর্থ দফার পরীক্ষাও করছে ভারত বায়োটেক। এর মধ্য দিয়ে এই টিকার নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগত মানের বিষয়ে বৈজ্ঞানিত তথ্য খোঁজা হবে। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়ার আগে এসব মানদ- পূরণ করতে হয়।