মাহমুদুলের ৭ ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংস বিফলে

দেড়শর ওপরে স্ট্রাইক রেট ৭ ছক্কায় ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি ওল্ড ডিওএইচএসের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়।

বোঝাই যাচ্ছে, বাকিরা তাহলে কেমন ব্যাট করেছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর মাত্র ১৫ রান। 

তাও এসেছে টেলএন্ডার আল ইসলামের ব্যাট থেকে।

যে কারণে এমন অনবদ্য টর্নেডো ইনিংস উপহার দিয়েও দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৬ এ থেমে গেছে ওল্ড ডিওএইচএসের।

আর এমন মাঝারি লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই পার করে দিয়েছে গাজী গ্রুপ। বিফলে গেল মাহমুদুলের সেই ম্যাচসেরা ইনিংস।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গাজী।

তবে ৫৫ বলের ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জুটেছে মাহমুদুলের ভাগ্যে।

১৩৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন মেহেদি হাসান। ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আল ইসলামের বলে সাজঘরে ফেরেন। 


গত দুই ম্যাচের পর আজকেও ভালো ব্যাট করেছেন জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।

দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন সৌম্য-মুমিনুল। ৩৪ বলে ২৭ রান করে রাকিবুলের বলে আউট হন মুমিনুল।  ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে ৩৫ বলে ৩৭ রান করেন সৌম্য। তাকেও সাজঘরে ফেরান রাকিবুল।

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে দায়িত্ব নেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। 

শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি। ১৮ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই দুই ওপেনারকে হারায় ওল্ড ডিওএইচএস। 

ডানহাতি পেসার মহিউদ্দিন তারেক উইকেটের দেখা পান প্রথম বলেই। তার ফুলটসে কাভারে ক্যাচ দেন আনিসুল ইসলাম ইমন। আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদ এলবিডব্লিউ হন নাসুম আহমেদকে স্লগ সুইপের চেষ্টায়।

৭ ওভার শেষে ওল্ড ডিওএইচএসের রান ছিল ২ উইকেটে মাত্র ২০। মাহমুদুলের রান তখন ১৫ বলে ৪।

পরের ওভারে মেহেদি হাসানকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ো ইনিংসের শুরু করেন মাহমুদুল। 

এর পর মুকিদুল হাসানের বলে পুল শটে উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠান। পরের ওভারে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন মাহমুদুল।

মাহমুদুল যখন গাজীর বোলাদের তুলোধোনা করছিলেন, তখন অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।

যে কারণে ১৮ ওভার শেষেও একশতে পৌঁছতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএসের স্কোর। শেষ দুই ওভারে আলিস আল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালান মাহমুদুল।

তারেকের এক ওভারে ২১ রান নেন এ জুটি। মাহমুদুল মারেন এক ছক্কা এক চার, আলিসও এক ছক্কা এক চার। 

শেষ ওভারে অফ স্পিনার মেহেদির প্রথম তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে ১৯ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের পাশাপাশি এবারের লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৫টির বেশি ছক্কা মারেন মাহমুদুল।