বড়লেখায় বড়ভাই হত্যায় জড়িত শিক্ষক গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তারই ছোটভাই শিক্ষক শাহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (০৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াকুব আলী রাজনগর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাসহস্র এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

শাহীদুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের মৃত আকমল আলীর ছেলে। তিনি রাজনগর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নিহত আপ্তাব উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ, শাহীদুল ইসলামের নির্দেশে আপ্তাবকে উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াকুব আলী বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে বলেন, আপ্তাব উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে রাজনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহীদুলকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

প্রসঙ্গত, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের মৃত আকমল আলীর ছেলে আপ্তাব উদ্দিনের সঙ্গে ভাতিজা সাব্বির আহমদ ও ভাগ্নে রিপন আহমদ গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হলেও প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো।

গত ১৬ মে বাড়ির পাশে জমিতে মাছ ধরা নিয়ে আপ্তাব উদ্দিনের সঙ্গে ভাতিজা সাব্বির আহমদ ও ভাগ্নে রিপন আহমদ গংদের ঝগড়া হয়।

একপর্যায়ে তারা দা ও লাটিসোটা নিয়ে আপ্তাব উদ্দিনের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১৭ মে ভোরে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় নিহত শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমদ থানায় মামলা করেন।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাব্বির আহমদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।

এই ঘটনায় জড়িত মূল ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ২১ মে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।