নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ‘টমটম’। এসব টমটম নগরীতে চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও প্রকাশ্যে চলছে নগরী বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছে এসব টমটম। দিনের বেলা নগরীর প্রধান সড়কগুলো কিছুটা এড়িয়ে চললেও সন্ধ্যার পর পুরো নগরীজুড়ে চলে এসব অবৈধ টমটম। এতে করে বাড়ছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজটও। এছাড়া এসব যানবাহন ব্যাটারি চালিত হওয়ায় চার্জের কারণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। আর এই টমটম স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে টমটম। জনি নামের এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার কলোনিগুলোতে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে রাতভর এসব যানবাহনে চার্জ দেয়া হয়। এতে করে একদিকে যেমন বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে লোডশেডিংও। ’ ২০১২ সালের শুরুর দিকে সিলেট নগরীতে টমটম অটোরিকশা নিষিদ্ধ করা হলে সিলেট ব্যাটারি চালিত রিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওলিউর রহমান এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে আদালত স্থানীয় সরকার সচিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতি রুল জারি করেন। এদিকে ২০১৮ সালে সিলেট নগরীর বেতর বাজার ক্বীনব্রীজ কতোয়ালী থানার সামনের স্ট্যা্ন্ড নিয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলু ও আক্তার হোসনে কে সেক্রেটারি করে কমিটি গঠন করা হয় ।সেক্রেটারি আক্তার হোসেন জানান মহামারি করোনা আসার পর থেকে আমি সেক্রেটারি পদে থাকলেও সংগটনের কোন কাজকর্ম পরিচানার দায়িত্বে নেই যে যার মত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।লাইনম্যান জনির সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি এক সমযে বেতের বাজার থেকে ক্বীনব্রীজ এলাকার দায়িত্বে ছিলাম করোনা ও লকডাউনের পর থেকে এখন আর আমি সে দাযিত্বে নেই।টমটম চালক মুক্তাদির হোসেনের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় ব্যাটারিচালিত টমটম ও রিকশা চলাচল করে আসছে শুধূ আমাদের সিলেট নগরীতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চলতে দেন না।আরো বলেন ,সরকার যদি এগুলো না আনত তা হলে আমরা অবৈদ হতাম না যারা এগুলো বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি নেওয়ার জন্য। সিলেট নগরীতে অবৈধ হয়ে পড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-টমটমের চলাচল। কারণ টমটম অটোরিকশা মোটরযান আইন কিংবা সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী রুট পারমিট পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ, যান্ত্রিক যানবাহনের পারমিট বিআরটিএ দিতে পারে। সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভা এ ধরণের যান্ত্রিক রিকশার পারমিট দিতে পারে না। এদিকে, হাইকোর্টে রিট খারিজ হওয়ার চার বছর হয়ে গেলেও এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি মেট্রো আইনের ২৭(গ) অনুযায়ী দেয়া পুলিশ কমিশনারের সেই আদেশ। এখন নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রতিনিয়ত চলছে এসব যানবাহন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেতের বাজার থেকে ক্বীনব্রীজ এলাকা, মেডিকেল থেকে মদিনা মার্কেট, মেডিকেল থেকে কানিশাইল নদীর পাড়, কানিশাইল নদীর পাড় টু কাজীরবাজার ব্রিজ, কাজীরবাজার ব্রিজ থেকে কোতোয়ালী থানার সামন, দর্শন দেউড়ি থেকে কলাপাড়া, মদিনা মার্কেট থেকে আখালিয়া নয়া বাজার,দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রীতিমতো স্ট্যান্ড করে এসব যানবাহন চলছে। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়ছল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তবুও আমাদের অগোচরে হয়তো অনেকেই চালায়।
মন্তব্য