শ্রীমঙ্গল সার্কেলকে জুয়া, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে ঘোষণা

সদ্য যোগদানকৃত শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল হক মুন্সি পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে জুয়া, মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। পাশাপশি সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সবধরনের অপরাধ নির্মূলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে জনগণকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

শনিবার রাতে সিলেট ভিউয়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে শহিদুল হক মুন্সি এসব কথা বলেন।

শহিদুল হক মুন্সি বলেন, পর্যটনখ্যাত এলাকা হওযায় শান্তিশৃঙ্খলার দিক থেকে শ্রীমঙ্গলের আলাদা একটি সুনাম রয়েছে। সেটি যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষের কাছে।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের মানুষ যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। নিজ গৃহেও যেন মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারে। নিরাপদ থাকতে হলে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আশপাশে যদি মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে, তাহলে আমাদেরকে তথ্য দিতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেই যেন শুন্যর কোটায় নিয়ে আসতে চাই। এছাড়া চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির যে প্রবণতা আছে সেটার ব্যাপারে রাতে টহল, পাহারা, নজরদারী এবং সোর্সিং জোরদার করছি। শ্রীমঙ্গলবাসী যেন গর্ব করে বলতে পারে, এখানে চুরি এবং ডাকাতি হয় না সেই কাজটি করতে চাই। অলরেডি আমি নিজেও রাতে না ঘুমিয়ে রাস্তায় বের হয়ে প্রতিটি এলাকায় পাহারাদার আছে কি না, সেটা তদারকি করছি পাশাপাশি পাহারাদারকে চাঙ্গা রাখার জন্য বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধুদ্ধ করছি। বিট পুলিশিং এর সাথে রাতে আমার কথা হচ্ছে সোর্সিং জোরদার করার জন্য।
এছাড়া নারী নির্যাতনকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। নারীসহ যে কোন ভিকটিমকে সুরক্ষা দেবার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। চা বাগান বেষ্টিত ও সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু থাকায় এখানকার অপরাধের ধরণটাও ভিন্ন, সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করবো।

প্রসঙ্গত.মো. শহিদুল হক মুন্সি গত ৪ জুন তারিখে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলে নতুন কর্মস্থল হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে র‌্যাব-১০ এ কর্মরত ছিলেন। তার আগে ২০১৭ সালে দীর্ঘ ছয় মাসব্যাপী তিনি মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার হয়ে ২০১৬ সালে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। তিনি নরসিংদি জেলার রায়পুর উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের করইপুর গ্রামের মো. হানিফের ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাষ্টার্স অব পুলিশ সাইন্স’ বিষয়ে ২০১৬-২০১৭ সেশনে ডিগ্রি অর্জন করেন।