এবার নতুন উদ্বেগের নাম গ্রিন ফাঙ্গাস..

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় গোটা বিশ্ববাসী। তারই মাঝে ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলো ফাঙ্গাসের দাপটে কার্যত ‘ত্রাহি ত্রাহি রব’ চারদিকে। বর্তমানে আবার নতুন আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতে প্রথমবারের মতো হদিশ মিলেছে গ্রিন ফাঙ্গাসের।

সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- বছর চৌত্রিশের এক ভারতীয় যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় তার ফুসফুসের প্রায় ১০০ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় তার। করোনা জয়ের পর বাড়িও ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু তারপর নাক দিয়ে রক্ত পড়া, দুর্বলতার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়।

ফের হাসপাতালে ভর্তি করে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তাতেই জানা যায়, তিনি গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। নতুন এই ছত্রাক নিয়ে উদ্বেগে সকলেই।


জেনে নিন গ্রিন ফাঙ্গাসের উপসর্গ কি, কারাই বা আক্রান্ত হতে পারেন এই ছত্রাকে, কীভাবে ছত্রাক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবেনঃ

গ্রিন ফাঙ্গাস কী?

গ্রিন ফাঙ্গাস আদতে অ্যাসপারগিলোসিস যা বাড়ির বাইরে, ভিতরে দু’জায়গাতেই থাকতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তবে যাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত কম, তারা এই ধরনের ছত্রাকের প্রকোপে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কারা আক্রান্ত হতে পারেন?

যে সমস্ত করোনাজয়ীর ফুসফুস সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল তাদের গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন তাদেরও সাবধানে থাকা প্রয়োজন। মারাত্মক ইনফ্লুয়েজা রোগীকে গ্রিন ফাঙ্গাস কুপোকাত করতে পারে। যাদের কেমোথেরাপি চলছে তারাও গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপসর্গ

গ্রিন এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের উপসর্গ প্রায় একইরকম। এই ধরনের ছত্রাকে আক্রান্তদের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্ট, ওজন কমে যাওয়া, জ্বর, ক্লান্তি-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রিন ফাঙ্গাসের হাত থেকে বাঁচতে কী করবেন?

গ্রিন ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ধুলাবালি রয়েছে এমন জায়গায় যাবেন না। সবসময় এন ৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত-পা পরিষ্কার রাখুন।
করোনা কালে সাবধানে থাকুন। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসকের কাছে যান।