লজ্জার রেকর্ড তামিমের

তিন ফরম্যাটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। সর্বাধিক সেঞ্চুরিও তার। সেই তামিম দুটি লজ্জার রেকর্ড গড়লেন হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এতেই হয়েছে লজ্জার দুই রেকর্ড। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বাধিক ১৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তামিম। তামিমের সবকটি শূন্য রানের ইনিংস ওপেনিংয়ে ব্যাট করে। ওপেনারদের মধ্যে এই সংস্করণে শূন্যের বিশ্বরেকর্ড সনাৎ জয়াসুরিয়ার, ২৯টি।ওপেনিংয়ে ক্রিস গেইলের শূন্য ২৩টি। এরপরই তামিম। তিন সংস্করণ মিলিয়েও ওপেনারদের মধ্যে শূন্যের বিশ্বরেকর্ডে তামিম আছেন তিনে। ৪৫টি শূন্য জয়াসুরিয়ার, ৪০টি গেইলের। তামিমের সংখ্যা ৩৪।

হারারেতে প্রথম দুই ওভারে কোন রানই সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে তামিম উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। তার বিদায়ে ‘সতর্ক’ শুরুটা ক্রমেই ‘বাজে’ রূপ নেয় বাংলাদেশের।  এই আউটে  মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে ছাড়িয়ে বেশি ‘ডাক’ মারার রেকর্ডের মালিক হয়ে যান তামিম। বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে ৪১২ ইনিংস ব্যাট করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৩৪ বার। এতোদিন ৩৩ বার ‘ডাক’ মেরে মাশরাফির সঙ্গী ছিলেন তামিম। মাশরাফির ৩৩টি শূন্য এসেছে ২৫২ ইনিংসে।  তালিকায় তিন নম্বরে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৩১০ ইনিংসে ৩১ বার কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন তিনি। চার আর পাঁচ নম্বরে আছেন মুশফিকুর রহীম (২৬) ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন (২৫)।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ শূন্যের রেকর্ডটাও এখন তামিমের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্যসহ এখন তার ‘ডাক’ এর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯-এ। এতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে, ১৮টি শূন্য নিয়ে এতদিন যিনি ছিলেন এই তালিকার শীর্ষে । মাশরাফির ‘ডাকের’ সংখ্যা ১৫টি। মোহাম্মদ রফিকের শূন্য রানে আউট হওয়ার সংখ্যাও তাই। ১৩টি শূন্য নিয়ে এ তালিকার পাঁচে আছেন আশরাফুল।