পাওয়ার আগে বণ্টনের ভাবনা বাফুফে’র!

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা করোনার জন্য তার অধিভুক্ত সংস্থাগুলোকে ১ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড দিচ্ছে । গত বছর নেয়া ফিফার এই সিদ্ধান্তের অর্থ ইতোমধ্যে পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও নেপাল। তবে বাংলাদেশ এখনো এই ফান্ড পায়নি। কবে পাবে তাও বলতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে। তবে দু’দিন আগে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির সভায় ফিফা কোভিড ফান্ড বন্টন নিয়ে আলোচনা সেড়ে রেখেছে বাফুফে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দুটি দেশ বেশ আগেই এ অর্থ পেয়েছে। ভারত ও নেপাল পেলেও বাংলাদেশ এখনো কেন পায়নি জানতে চাইলে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ ইতোমধ্যে পেয়েছে। বাংলাদেশসহ তিনটি দেশ এখনো

নেপাল ও ভারতে করোনা মহামারির তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। এজন্য ফিফা হয়তো গুরুত্ব বিবেচনায় তাদের আগে দিয়েছে।’ বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদি ফান্ড পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফিফা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানিয়েছে তারা ফান্ড দেবে। ফান্ড পেতে যে সমস্ত কমপ্লায়েন্স লাগে সবই আমরা তাদের পাঠিয়েছি এবং তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’ এটি ফিফার নিয়মিত অনুদানের বাইরের ফান্ড। এরপরও অনেক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে এ ফান্ড পেতে। ফান্ড পাওয়ার পর এর স্বচ্ছ বিতরণও খুব গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে সালাম মুশের্দী বলেন, ‘ফান্ড আসার পর ফিফাকে আবার হিসাব দিতে হবে কোন কোন খাতে কিভাবে বন্টন হলো। তাই এজন্য ফান্ড প্রাপ্তির নীতিগত নিশ্চয়তার পরই এর বন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ বাফুফের পরিকল্পনা ছিল ক্লাবগুলোর পাশাপাশি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও অন্যান্য অধিভুক্ত সংস্থাকে ফিফার আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে কিছুটা সরে এসেছে বাফুফে। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রাধান্য দিচ্ছেন পুরো ফুটবল পরিবার ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনার জন্য। অন্য দিকে ক্লাবগুলোর পাশাপাশি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও বাফুফের কাছ থেকে ফিফার এই ফান্ডের অপেক্ষায়। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লীগের ছোট ক্লাবগুলো ও চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাবগুলো এক বছর যাবত তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় এই ফান্ডের জন্য। এই ফান্ড থেকে এসব ক্লাবগুলোকে সহায়তা করা হবে কিনা তা জানাতে পারেননি বাফুফের এই কর্মকর্তা।