মৌলভীবাজারে ২৪ ঘন্টায় ১১ জনের মৃত্যু

প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলায় গেল ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৭ জন সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ জনের ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমলগঞ্জে করোনা সনাক্ত হয়ে ২ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে কুলাউড়ায় এক পল্লী চিকিৎসক করোনায় মারা যান। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও ১ জন মৃত্যু বরণ করেন।  মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা পজেটিভে নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বাশা আবাসিক এলাকার মৌসুমী বৈদ্য (৩০) মারা যান। করোনা উপসর্গ নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাইজদি এলাকার দিলারা বেগম (৬০), সিলেটের বালাগঞ্জের পৈলনপুর এলাকার আশিকুর রহমান (৭৫) ও একই এলাকার রফিক মিয়া (৮৫) মারা যান। ওই ৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফয়ছল জামান। করোনা সনাক্তের পর কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জালালপুর গ্রামের হারুন-অর রশীদ (৪৫) ও আলীনগর ইউনিয়নের যোগিবিল গ্রামের আমেনা বেগম (৬৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে ছোট বোন করোনায় মৃত্যুবরণকারী আমেনা বেগমকে দেখতে এসে সোমবার সকালে বড় বোন সবজান বিবি (৭০) মারা যান ওই দিন বিকেলে দুই বোনের নামাজে জানাজা এক সাথে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলাউদ্দীন (৪৫) ও একই ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী শওকত আলী (৬২) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, করোনা শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন। তবে এদের মধ্যে ২ জন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে কারেনা শনাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি ৩ জন করোনার নমুনা এখানে দেননি। কুলাউড়া উপজেলার উত্তর কুলাউড়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক জালাল উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেট নর্থইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়াও ওই উপজেলায় ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের একব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারাযান। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৭০টি নমুনা পরীক্ষায় পাঠালে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুযায়ী আক্রান্তের হার ৩৭.১ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৪‘শ ৩৫ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়। সরকারী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেন ৪৭ জন। তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বে-সরকাররি হিসেবে জেলার বাহিরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮০ জন।