সিলেটে চালকসহ যানবাহনের ডাটাবেজ সংরক্ষণ হবে সফটওয়্যারে

 প্রযুক্তির স্পর্শে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এনালগ থেকে ডিজিটালের দিকে সবকিছু।অপরাধী শনাক্তে পুলিশের প্রযুক্তির ব্যবহারে মিলছে সাফল্য। এবার সফটওয়্যারে চালকসহ যানবাহনের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।  
আটক যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ও অবমুক্তকরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে ‘Towed vehicles management system’ সফটওয়্যার চালু করেছে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আটক যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ও অবমুক্তকরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘Towed vehicles management System’ নামে একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।

বছরের শুরুতে উক্ত সফটওয়্যার তৈরি, যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে দু’মাস পরীক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন করে গত জুন মাস থেকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে আটক যানবাহন, চালক ও মালিকের তথ্যাদি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে।  

মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে দায়িত্বরত সার্জেন্টরা কাগজপত্রবিহীন, অবৈধ কোনো যানবাহন আটক করলে তা সফটওয়্যারে যানবাহন ও চালকের বিস্তারিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করে পুলিশ লাইন্সে পাঠাবেন।
পুলিশ লাইন্সে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আটক গাড়ি বুঝে পেয়ে উক্ত সফটওয়্যারে বিস্তারিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করবেন। বর্ণিত কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর অ্যাডমিন নোটিফিকেশন পাবে।  
ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন সময় কাগজপত্রবিহীন গাড়ি আটক করার পর জরিমানা আদায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। গাড়ি আটক করা থেকে শুরু করে অবমুক্তকরণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। 
 এছাড়া ওয়েব বেইজড সফটওয়্যারটিতে রয়েছে প্রসিকিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যেসব গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে প্রসিকিউশন দাখিল করা হবে। তার ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছ। ফলে ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র অফিসাররা মোট মামলা, আটক যানবাহনের সংখ্যা ও জরিমানার পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন। এর মাধ্যমে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের (টিআই) পারফরম্যান্স নির্ধারণ সহজে সম্ভব হবে।
পর্যায়ক্রমে এসএমপি ট্রাফিক বিভাগের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, এ সফটওয়্যারে ফোর্সের ছুটি, ডিউটি বণ্টন ও ফোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলো যুক্ত করা হবে।
দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে এ সফটওয়্যারটি চালু করা হয়েছে। এতে সিনিয়র অফিসাররা খুব সহজেই জরিমানা আদায়কারীদের কার্যক্রম তদারকি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ।