বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইমরান হোসেনকে (৩২) ফরিদপুরের সদরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরপুর থানার পুলিশ ইমরানকে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ইমরানের অনুপস্থিতিতে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। মামলা চলার সময় থেকেই ইমরান পলাতক ছিলেন। ইমরান ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে পেটান ও কোপান। বাঁচার জন্য দৌড় দিলে তিনি শাঁখারীবাজারের রাস্তার মুখে পড়ে যান। রিকশাচালক রিপন তাঁকে রিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বিশ্বজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে শাঁখারীবাজারে নিজের দোকানে যাচ্ছিলেন।

বিশ্বজিৎ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর গ্রামের দাসপাড়া মহল্লার বাসিন্দা অনন্ত দাসের ছেলে। এ ঘটনায় ওই দিনই সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। 

এরপর ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলায় রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের দিন মামলার আট আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক ছিলেন। ওই মামলার ১৫ নম্বর আসামি হলেন ইমরান।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, সদরপুর পুলিশের কাছে খবর ছিল পলাতক ইমরান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চরবিষ্ণুপুর এসেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গতকাল রাত ১১টার দিকে চরবিষ্ণুপুর এলাকার একটি সড়ক থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আজ বুধবার ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানার পুলিশ তাঁকে আদালত থেকে বুঝে নেবে।