মোস্তাফিজকে অনুসরণ করতে চান শরীফুল

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান দলের অন্যতম তারকা পেসার শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জনের অংশীদার এই তরুণ। জাতীয় দলে জায়গা পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। সুযোগটাও দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। বল হাতে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা তার। সেই সুবাদে সুযোগ হয়েছে আইসিসি’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এত দ্রুত কীভাবে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন এই পেসার! রহস্যটা গোপন করেননি, জানিয়ে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমানকে ফলো করেন তিনি। এককথায় অনুসারীর মতোই ফিজের প্রতিটি কথা ও কাজ নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতির কাজে লাগান। তিনি বলেন, মোস্তাফিজ ভাই সবসময় বলতেন- তোমার লক্ষ্য কী, স্বপ্ন কী। ওই প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে। এভাবে যখন ভাবি- কেন ক্রিকেট খেলছি, কী করলে আরও উন্নতি হবে। এটা ভাবার পর ভালো মোটিভেশন আসে। ইনশাআল্লাহ্‌ ভালো করার চেষ্টা করবো। উনার (ফিজ) সঙ্গে ডিপিএল, বঙ্গবন্ধু কাপ, জাতীয় দলে যতবার একসঙ্গে খেলেছি আল্‌হামদুলিল্লাহ্‌ সবগুলো ভালো হয়েছে। বিশ্বকাপেও সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করবো। কাটার শেখার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়।’ দেশের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের জার্সি গায়ে উঠেছে যুব বিশ্বকাপ জয়ী এ তরুণের। এক টেস্ট, ৪ ওয়ানডের সঙ্গে খেলেছেন ১১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বিশেষ করে টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে বল হাতে দেখিয়েছেন দারুণ সাফল্য। ১৭ উইকেট। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফর, আর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে তার শিকার ১৫ উইকেট। তার এমন পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেতে খুব একটা সময় লাগেনি। এবার তিনি মাঠ মাতাবেন দুবাইয়ে বড়দের বিশ্বকাপেও। শুধু তাই নয়, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও তাকে দিয়েছেন দারুণ সাহস। এ বিষয়ে শরীফুল বলেন, ‘পাপন স্যার বলেন- ভালো হচ্ছে, ভালো করে যাও। সাকিব ভাই সবসময় খুব ইতিবাচক কথা বলেন। যেটা করলে ভালো হয় সেটা বলেন। সবাই একই কথা বলেছেন- নিজের যত্ন নিতে হবে, ভালো করে খেলতে হবে।’ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের দৃশ্য এখনও ভোলেনি ক্রিকেট বিশ্ব। সেই দলের সদস্য শরীফুল এবার বড়দের বিশ্বকাপেও বল হাতে নিজের সেরাটা দিতে নিজেকে দারুণভাবে প্রস্তুত করছেন। ২০ বছর বয়সী এই পেসার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের সঙ্গে জাতীয় দলের অনেক পার্থক্য, তা বুঝতে পেরেছেন। তবে ভুলতে চান না যুব বিশ্বকাপের সেই তেজ, সেই উদ্যম। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, ভালো পারফর্ম করেই (যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের পারফরম্যান্স অব্যাহত) রাখতে চাই। ২০১৬ বিশ্বকাপের সময় আমি অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে খেলি। যে ম্যাচটিতে ভারতের সঙ্গে মাত্র ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ সেই ম্যাচ আমি চট্টগ্রামে বসে দেখছিলাম। অনেক কষ্ট লেগেছিল। এখন নিজে ওই জায়গায় খেলবো। খুবই ভালো লাগছে। ভালো খেলতে পারলে আরও ভালো লাগবে।’ তবে দলে জায়গা পেলেও তা ধরে রাখা যে ভীষণ কঠিন তা বেশ ভালো করেই জানেন শরীফুল। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়েও আছেন। ভালো করেই জানেন যুব বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা চলবে না বড়দের বিশ্বাকাপে। সেখানে আর জুনিয়র বলে নিজের পারফরম্যান্সকে ছোট করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘এর আগে জিতেছি, সেটা তো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ছিল। একটু সহজই ছিল। এখানে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানরা খেলেন। চ্যালেঞ্জিং হবে, কঠিন হবে। এদিক-সেদিক বল করলে বাউন্ডারি হয়ে যাবে। চেষ্টা থাকবে গুছিয়ে বল করার। সবাই দোয়া করবেন, দেশ যাতে ভালো কিছু করতে পারে, আমি যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।’