টিকটকের শ্যুটিং নিষিদ্ধ করলো বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভ, স্ন্যাক ভিডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য হয়- এমন ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করেছে কলেজ প্রশাসন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কলেজ ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা কিংবা অন্য কোন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস দিয়ে ভিডিও ধারণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কলেজ প্রশাসন।

এদিকে কলেজ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা বলেন, ‘অনেক সময় অপ্রস্তুত থাকাবস্থায় অনেকেই আমাদের অজান্তে ভিডিও ধারণ করে টিকটক-লাইকিতে আপলোড করে ফেলে। এতে আমাদেরকে অনেক সময় সামাজিকভাবে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হবে জ্ঞানের চর্চা। এখানে যদি নষ্টামির চর্চা হয় তাহলে তো শিক্ষা অর্জিত হবে না। অভিনন্দন জানাই বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষকে এমন উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।’

এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ এ বিরতিতে অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা থেকে দূরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের পুনরায় পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন বিভিন্ন মেয়াদে সরকার ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচি চলাকালে টিকটক, লাইকিসহ অন্যান্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক তৎপরতা সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি ও দেখেছি। টিকটক বা লাইকি তারকা হতে তরুণ প্রজন্ম অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, নৈতিকতা বিনষ্ট হচ্ছে। আর সেকারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।