যাদের দলে গণতন্ত্র নেই, দেশে প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে?: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপি তাদের জাতীয় সম্মেলন তো দূরের কথা, গত এক যুগে তৃণমূল পর্যায়েও তারা কোনো সম্মেলন করতে পারেনি।

বুধবার সকালে রাজধানীর বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, একদিন বা এক বছরের বিষয় নয়। এটি সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া। সরকার ও বিরোধী দলের আন্তরিক সহযোগিতা এবং চর্চার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে চলে। আসলে নিজেদের অপরাধ না দেখে ঢালাওভাবে সবকিছুর জন্য সরকারকে দায়ী করার ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি।

কবে তাদের দলে গণতন্ত্র চর্চা হবে? সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ গণতন্ত্র আর মুখোশধারী সেবকদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন শেখ হাসিনা। চলার পথে ভুলত্রুটি যে হয়নি এমন নয়, তবে এ ত্রুটি সংশোধনের সৎসাহস শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। গণতন্ত্র বিকাশের পথে বহু বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অবিরাম কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলগতভাবেও আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় দেশের যে কোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনবিমুখ একটি দল কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? যে দলের মহাসচিব জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পদত্যাগ করে; কিন্তু তার দল সংসদে রয়েছে, এটা কোন গণতন্ত্র?

তিনি বলেন, বিএনপি যতই কাল্পনিক অভিযোগ করুক প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপিই গণতন্ত্রের বিকাশের পথকে সংকুচিত করেছে। বিএনপিই নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রকে সংকুচিত করে। এর আগে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরিশাল সড়ক জোনের অধীনে নির্মিত ১২টি সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।