ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচা-চাচির সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভাতিজার বিরুদ্ধে আপন চাচা-চাচি জমি দখল ও অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার নান্দাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ভূইয়া ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ভাতিজা মো. আব্দুল হাদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, আব্দুল হাদি পুলিশের এএসআই হিসেবে বর্তমান খাগড়াছড়িতে কর্মরত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নূর মোহাম্মদ ভূইয়া জানান, পুলিশে চাকরি করার প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল হাদি এলাকায় এসে ভাইদেরকে নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের উদ্দেশ্যে তাদেরকে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া এই পুলিশ কর্মকর্তা জোরপূর্বক ১৭ শতাংশ জমি দখল করেছেন।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাদির চাচি ফাতেমা আক্তার জানান, তাদেরকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং ৫৯৫, ১০৭/১১৭) চলমান। এছাড়া গত ২৭ আগস্ট নান্দাইল মডেল থানায় আব্দুল হাদির নাম বাদ দিয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করার পর একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি জানান, মামলায় ৬ আসামি আদালতে মুচলেকা দিয়ে এসে আব্দুল হাদির নির্দেশে ফের তাদের জমি দখলসহ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

আবদুল হাদির নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. ওবাইদুর রহমান জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আকন্দ ছুটিতে আছেন। যেহেতু আবদুল হাদি পুলিশে কর্মরত, তাই সরাসরি তার নাম এজাহারে যুক্ত করা হয়নি। তবে তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে এএসআই আব্দুল হাদি বলেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক গোলযোগ রয়েছে। উক্ত ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।