আফ্রিকার ইরিত্রিয়াতে আজেফা নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মারা যান নাটাবে টিনসিউ। তাঁর মৃত্যুর পরে নাটাবের পরিবারের সদস্যরা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সদস্যদের ডেকে জানান, নাটাবে ছিলেন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা সবথেকে বয়স্ক ব্যক্তি। বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবার অনুরোধ জানান তাঁরা। মৃত নাটাবের নাতি জেরি দাবি করেছেন যে, তিনি গিনেসের সাথে কথা বলেছেন এবং তার দাদুর জন্মের বছর প্রমাণ করার জন্য সরকারী নথি সরবরাহ করেছেন। জন্ম নথি অনুসারে নাটাবে ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করার জন্য নাটাবের জন্মের স্বীকৃতিপত্র পেতে আরো ১০ বছর সময় লেগে যায়। জেরি বিবিসিকে বলেন, গিনেস তাদের পরিবারের দাবি যাচাই করে দেখছে।
জেরি জানান, নাটাবের দীর্ঘ জীবনের রহস্য "ধৈর্য, উদারতা এবং আনন্দে বেঁচে থাকা'। সেই সঙ্গে তিনি যত্নশীল এবং পরিশ্রমী একজন মানুষ ছিলেন। ১৯৩৪ সালে বিয়ের পর তিনি তার স্ত্রীর সাথে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে, তার স্ত্রী ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পশু পালনে ব্যয় করেছিলেন নাটাবে, তিনি বেশ কয়েকটি গবাদি পশু, ছাগল এবং এমনকি মৌচাকের মালিক ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর ১২০ বছরের জন্মদিনটি গোটা গ্রাম একসঙ্গে উদযাপন করেছিল। না
টাবের পরিবার এখন চাইছে তাঁদের দাবি যাচাই করে দেখে বিশ্বের সবথেকে বয়স্ক মানুষের সম্মান দেওয়া হোক নাটাবে টিনসিউকে। এই মুহূর্তে জিনি ক্যালমেন্ট সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির রেকর্ডের অধিকারী। তিনি ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান। জাপানের আরেক প্রবীণ ব্যক্তি জিরোমন কিমুরা, ২০১৩ সালে ১১৬ বছর বয়সে মারা যান। তাই যদি নাটাবের পরিবারের দাবি সত্যি প্রমাণিত হয় এঁদের সবার রেকর্ড ছাপিয়ে যাবেন আফ্রিকার নাটাবে টিনসিউ ।
সূত্র: mirror.co.uk
মন্তব্য