সাংবাদিকদের সত্য তথ্য তুলে ধরার আহ্বান পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন সাংবাদিকবান্ধব। তিনি সব সময় সাংবাদিকদের পক্ষে থাকেন। কারণ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সম্পর্ক হচ্ছে অত্যন্ত মধুর। সাংবাদিকদের ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে। সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে সত্যের সঙ্গে থাকতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ফিজিওথেরাপি ক্যাম্পিং কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে একটি চক্র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে যার মতো মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব জাতির সামনে সত্য তথ্য তুলে ধরা। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। একটি ঘটনা ঘটলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিক চলে আসে। কখনো মিথ্যা, কখনো সত্য ঘটনা। সত্যের চেয়ে অপপ্রচারই বেশি হয়। ফলে সবার মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সঠিক তথ্যের জন্য সাংবাদিকদের দিকে জাতি তাকিয়ে থাকে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, অতীতে যারা পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশ ও মানুষের কল্যাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই একই মহল সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।

‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে গুজব রটনা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সাংবাদিকরা জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। উন্নয়নের পক্ষে থাকবেন। স্বাধীনতার পক্ষে থাকবেন।

’ ডিআরইউর স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের প্রশংসা করে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। রাতদিন সমানভাবে পরিশ্রম করেন। সবার আগে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। অসুস্থ হলে চিকিৎসাও প্রয়োজন। করোনাকালেও রিপোর্টার্স ইউনিটি তাদের সদস্যদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে তা অকল্পনীয়। আজকের ফিজিওথেরাপি সেবাও একটি নতুন উদ্যোগ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন— সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন— সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ। এ সময় ফিজিওথেরাপিট জাহিদ উদ্দিন আকন্দসহ ডিআরইউর বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।