ছয় ঋতুর দেশে শীত আসে উৎসবের আমেজ নিয়ে। শীতে ঘাঁস ও গাছের পাতায় টলমলে শিশির দেখা যায়। ফুলের মৌ মৌ গন্ধেও মিশে আছে শীতের আমেজ। ফুলের মোহনীয় রূপ পাওয়া যায় শীতে। প্রকৃতির এ রূপটাকে বাড়িয়ে দিতে প্রতি বছর এই শীতে আসে অতিথিরা। এসে আমাদের মনকে আরো রাঙিয়ে তোলে নতুন ছন্দে। শীতের প্রকোপ যতই বাড়তে থাকে, অতিথি পাখি আসার সংখ্যাও বাড়তে থাকে সমানতালে। এ যেন অন্যরকম সৌন্দর্য।
সিলেটেও শীতের আগমনের প্রকৃতি সেজে উঠেছে নতুন আমেজে। মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। বাতাসে শুষ্কতার ছোয়া। দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। কাক ডাকা ভোরে গাছপালা ও ঘাসের সবুজ গালিচায় মুক্তাবিন্দুর মতো শিশির পড়তে শুরু করেছে। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় জানান দিচ্ছে শীত আসছে।
শীতের আগমনে সিলেটে গত কয়েক দিনে লক্ষ করা যায় ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে বসেছে শীতর গরম কাপড় নিয়ে। নগরীর মার্কেটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় সব কাপড়ের দোকানেই শীতের কাপড় উঠেছে। উচ্চ থেকে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পর্যায়ের মানুষ এখন শীতের গরম কাপড় ক্রয় করতে ভীড় করছেন বিভিন্ন দোকানগুলোতে। প্রায় সব দোকানগুলোই সন্ধ্যার পর ভীড় জমে।
অন্যদিকে শীতের প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে কসমেটিক দোকানগুলোতে ভীড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। কসমেটিক ব্যবসায়ী মুরাদ উদ্দিন জানান, শীতের আগমনে মেরিল, লিপজেল, লোশন, অয়েল, ক্রীম, পমেট, চেপষ্টিক সহ আরও বিভিন্নকসমেটিক সামগ্রী গত ২ সপ্তাহ ধরে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে। শীতের কাপড় কিনতে আসা ইমন খান জানান, আর কিছুদিন পরেই পুরোপুরি শীত শুরু হবে তাই আগে ভাগেই শীতের গরম কাপড় কিনতে এসেছি।
এদিকে হেমন্তের শুরুতে থেকেই সিলেটের বাজারগুলোতে উঠেছে শীতের সবজি। বাজারে ঢুকলেই চোখে পড়ে হরেক রকম শীতের সবজি। শীতকালীন সবজির মধ্যে বাজারে উঠেছে বেগুন, ফুলকপি, বটবটি, শিম, টমেটো ও লাউ।
গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলা গরম অনুভূত হলেও গভীর রাতে মাঝারি শীত অনুভূত হচ্ছে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারনে সিলেটে ভাইরাস জনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এসব রোগের মধ্যে- সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া শাসকষ্ট ও চর্ম রোগ জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্তব্য