দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী ব্যয় আদায়ের হুমকি বিএনপি প্রার্থীর

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় সুরমা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীর কাছ থেকে বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদ তার নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা আদায়ের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিতে পারলে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত টেনে নেওয়ারও হুমকির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম, মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া ও জুয়েল মিয়া।

সুরমা ইউপিতে গেল ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হালিম বীর প্রতীক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।

জানতে চাইলে বদরুল ইসলাম বলেন, ‘তার (হারুনুর) নাকি নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই টাকা আমাদের দিতে হবে। তিনি যেভাবে হুমকি দিয়েছেন তাতে আমরা ভয়ে আছি। এ কারণে থানায় জিডি করেছি।’

বদরুল জানান, শুক্রবার সকালে হারুনুর তাকে ফোন করে বলেন, তারা (বদরুল, রফিক ও জুয়েল) নৌকার পক্ষে জনৈক মশিউর রহমানের কাছে ভোট চেয়েছেন। এখন তাদের টাকা-পয়সা দিতে হবে।

তাদের ‘বড় কলিজা’ আছে উল্লেখ করে হারুনুর তাদের বেঁধে ২৫ লাখ টাকা আদায় করবেন বলে হুমকি দেন। নিজেকে ‘ভয়ংকর’ পরিচয় দেন এবং বলেন, ‘সিরিঞ্জ দিয়া রক্ত তুইল্লা নিমু’।

তবে হারুনুর রশিদ হুমকির বিষয়টিকে ভুল–বোঝাবুঝি উল্লেখ করে বলেন, আমি রড–সিমেন্টের ব্যবসা করি। বদরুল আমার এলাকার ছোট ভাই। বদরুলের কাছে কিছু টাকা পেতাম। মুঠোফোনে এই টাকা চাইতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম বীর প্রতীক জানিয়েছেন, নৌকার পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন পরাজিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ। জিডি করার পর তিনিও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সাংসদকেও অবহিত করেছেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, ‘আমরা হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে করা জিডির বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’।