শঙ্কা মুক্ত ইয়াসির!

অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ৪ রানে আউট ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের বিপর্যয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান চট্টগ্রামের এই যুবক। শক্ত হাতে দলে হাল ধরে ৭২ বলে ৩৬ রান করেন। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘটে বিপত্তি। শাহিন আফ্রিদির বল হেলমেটে লাগার পর মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে। তবে জানা গেছে, তিনি রক্ষা পেয়েছেন খারাপ কিছুর শঙ্কা থেকে। সিটি স্ক্যানে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি তার। ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। দৈনিক মানবজমিনকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ওর মাথায় সিটি স্ক্যান হয়েছে। ভালো বিষয় যে, কোনো ধরনের সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে এটা মাথায় আঘাত। যে কারণে আমরা ওকে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে রেখে পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য কোনো সমস্যা নেই এটাই বলতে পারি।’ চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে হেলমেটে বল লাগার পর মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। আঘাতের আগ পর্যন্ত তিনি দারুণ খেলছিলেন। দুর্দান্ত কিছু শট দেখা যায় তার ব্যাট থেকে। ছন্দে থাকার সময়ই আচমকা ওই আঘাত। ম্যাচের ৩০তম ওভারে রাউন্ড দা উইকেটে এসে শর্ট বল করেন আফ্রিদি। ইয়াসির মাথা নিচু করে বল ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। বল থেকে চোখও সরিয়ে নেন। বলটি না লাফিয়ে নিচু হয়ে ছোবল দেয় হেলমেটে। কনকাশন প্রটোকল অনুযায়ী তখন ফিজিও মাঠে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ইয়াসিরকে। এরপর তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান। তবে ওভারটি খেলার পরই মাঠ ছাড়েন তিনি। কনকাশন বদলি হিসেবে একাদশে যুক্ত করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। হঠাৎ পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি সোহান। ২০১৮ সালের পর প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমে ১৫ রানে আউট হন ভীষণ দৃষ্টিকটু শটে। তার আউট দিয়েই শেষের ধসের সূচনা হয় বাংলাদেশের। ৪ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে দল গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে। টেস্ট জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২। যে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের দিন শেষে সংগ্রহ ১০৯ রান।