কানাইঘাটে বাবুর্চি ও নারী সহকারীর মৃত্যু সম্পর্কে যা বলছে পুলিশ

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে নারী বাবুর্চিসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সিলেটে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। কি কারণে তাদের মৃত্যু হলো তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে পুলিশ ধারণা করছে ধোঁয়ার কারনে মৃতূৃ হতে পারে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃতরা হলেন—উপজেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা সুহেল আহমদ (২৮) এবং ওসমানীনগর উপজেলার তাহিরপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (৪০)।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বানীগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ী বাজার আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে রান্নার জন্য যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন। রাতে তারা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন।

বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে না উঠলে আয়োজনকারী জসিম উদ্দিন তাদের ডাকতে আসেন। ডাকাডাকির পরও ঘুম থেকে না উঠায় দরজা ভেঙে কক্ষে ঢোকেন জসিমসহ কয়েকজন। তারা দেখেন সুহেল, নাজমা ও নাজিম এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছেন। ছোট কক্ষ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন।

তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুহেল ও সালমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজিমকে ওসমানী মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।

কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা যে কক্ষে ছিলেন সেটা ছোট হওয়ায় কয়েল ও রান্নাঘরের ধোঁয়ায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।