যে কারণে ৩ বছর কারাভোগ করতে হলো সৌদি রাজকুমারীকে

তিন বছর কারাভোগের পর সৌদি আরবের রাজকুমারী বাসমা বিনতে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ও তার মেয়ে মুক্তি পেয়েছেন।

রাজধানী রিয়াদের একটি কারাগার থেকে এ রাজকুমারী ও তার মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে বলে শনিবার একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে। যেখানে পোশাক থেকে শুরু করে গাড়ি চালানোর অধিকারসহ সব ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সৌদি প্রশাসন, সেই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে মানবাধিকার এবং বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলতেন তিনি। খবর আনন্দবাজারের।

এর কারণে রাজপরিবারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বাসমাকে। রাজকন্যা হওয়া সত্ত্বেও বাসমা বিনতে সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ঠাঁই হয় রাজনৈতিক বন্দিদের সঙ্গে কারাগারে। মায়ের সঙ্গে বন্দি হতে হয় তার মেয়ে বাসমার মেয়ে সুহুদ আল শারিফকেও। তিন বছর পর শনিবার মুক্তি পেয়েছেন এ দুজন। এর নেপথ্যে রয়েছেন সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যান রাজকুমারী বাসমা। আদতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। কোনো অভিযোগ ছাড়াই এপ্রিলে প্রথম পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বাসমা। জানাতে পারেন যে সুইজারল্যান্ডের বিমান ধরার আগেই তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে।

২০২০ সালে সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন বাসমা। লিখেছিলেন— বছরখানেকের বেশি সময় ধরে তাকে রিয়াদের আল-হাইর জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ এ কথা জানিয়ে তিনি সৌদির বর্তমান যুবরাজকে আবেদন জানান যে, তাকে যেন মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। সঙ্গে তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়।

সৌদির দ্বিতীয় শাসক রাজা সৌদের কনিষ্ঠ কন্যা এই রাজকুমারী বাসমা। রাজপরিবারের অন্দরে ‘নারীদের প্রতি চলা অবিচারের’ বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাকে।