বড়লেখায় টিকা দিতে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের টাকা আদায়!

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্কুলপর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিভাবকরা জানিয়েছেন, উপজেলার কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান টিকা নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষরের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করেছেন।

জানা গেছে, বড়লেখার ৩৭টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ডের নির্ধারিত ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরের পরপরই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকা দেন। কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৭০ জন শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়।

মঙ্গলবার সকালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নানা খরচের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করতে থাকেন। কোনো শিক্ষার্থী টাকা না দিলে তিনি তার নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করছেন না।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহারা নবাব জুইয়ের বাবা শরফ উদ্দিন নবাব, ফৌজিয়া রহমানের বাবা আব্দুর রহমান, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জহুরা ফেরদৌসীর বাবা নুরুল ইসলাম, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা বেগমের বাবা খলু মিয়া প্রমুখ অভিযোগ করেন, ২০ টাকা না দিলে টিকা ফরমে স্বাক্ষর করেননি প্রধান শিক্ষক। পরে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পরিশোধ করে স্বাক্ষর নেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, করোনা ভ্যাকসিনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেওয়ার নির্দেশনা নেই। অভিযোগ পেয়েই তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে দ্রুত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান জানান, অডিটোরিয়ামের (টিকা কেন্দ্র) ভাড়া ও সেখানে যাতায়াত বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি তিনি ২০ টাকা করে নিয়েছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেবেন বলে জানান তিনি।