সিলেটে হচ্ছে “ওয়াসা”

সিলেটে পানি সরবরাহ এবং নর্দমা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ওয়াসা (Water and Swearage Authority) কার্যালয় স্থাপনের  নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় । আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।

নগরভবনে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যগুলো জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

পানির মাসিক বিল পুনঃনির্ধারণ উপলক্ষে বুধবার বিকেল ৫টায় নগরভবনের কনফারেন্স হলে শুরু হওয়া জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব নির্ধারিত বিলের পরিমাণ কমিয়ে নতুন করে পানির বিলের তালিকা প্রকাশ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

নতুন বিলের তালিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের ৩০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৭০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি মাসে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ২ হাজার ২০০ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের ২ হাজার ২০০ টাকা এবং সরকারি গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠায় আমরা জরুরি সভা করে আমরা পানির মাসিক বিল কমিয়েছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসিক পানির বিল দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জাগুলোকে পানির বিল দিতে হবে না। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারা কেবল নিজের হোল্ডিং নম্বরের পানির বিল মাফ পাবেন।

মেয়র আরিফুল আরও বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত পরিমাণ বিল দেওয়া হলেও আগামী পাঁচ থেকের ছয় মাসের মধ্যে পানির মিটার প্রক্রিয়া চালু হবে। এতে যে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করবেন ওই পরিমাণ বিলও দিবেন।

বকেয়া বিলের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, যারা অবৈধভাবে পানির সংযোগ নিয়েছেন তারা আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন করিয়ে নিতে পারবেন। অন্যতায় সিসিকের অভিযানে অবৈধ সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। একই সাথে বকেয়া বিলের ব্যাপারেও একটি নির্ধারিত সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের ভেতর বিল পরিশোধ করতে না পারলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

মেয়র বলেন, ধর্মীয় সব উপাসনালয়ের পানির বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। আমরা মসজিদ-মন্দিরসহ সকল উপাসনালয়ের পানির বিল মওকুফ করে দিয়েছি। তবে কেউ অযতা অতিরিক্ত পানি বিনা কারণে অপচয় করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।