ওয়াদা করেন ক্ষমতায় গেলে অর্ধেক আসন দিয়ে দেবেন: ডা. জাফরুল্লাহ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনপূর্ববর্তী দুই নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে যাবে। একটা পরিকল্পনা হলো নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকদের ব্যবহার করা হবে এবং জেলা প্রশাসকেরা তো অনুগত আছেই। এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আমি মনে করি না যে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে। অন্তত দুই বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার দরকার।

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় খুব বেশি খুশি হওয়ার জায়গা নেই উল্লে­খ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশবাসীকে জানাতে হবে- এত দিন আমরাই বলেছি। এখন বিদেশেও এগুলো আলোচনা হচ্ছে। এখন থেকে সাবধান হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমলা দিয়ে সুশাসন কায়েম করা যায় না, ধান্দাবাজি করানো যায়। আজকে এই আমলারা যারাই আপনার সঙ্গে মিনমিন করছে তারা একটা সময় আপনাকে বেঁধে নিয়ে আসবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, আপনি ওয়াদা করেন যারা আপনার জন্য কাজ করছে ক্ষমতায় গেলে তাদের অর্ধেক আসন দিয়ে দেবেন। তাহলে জনগণ মাঠে নামবে এবং আপনার জন্য কাজ করবে। দেশের রাজনীতিতে আপাতত নাক গলানো বন্ধ করেন। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করেন তাদের অফিসে গিয়ে। আপনার অফিসে ডেকে না। সবার মতামত নিয়ে একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করবেন, তাহলেই আপনি জনগণের সমর্থন পাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। গত ১২ বছরেও বিরোধী দল কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী। তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে জড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বাংলাদেশের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রপ্তানি, শুল্ক সুবিধার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে। এসব ঘটলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।