সালিশের মধ্যেই শিক্ষককে মারধর

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এক সালিশ বৈঠক চলাকালে শিক্ষক আব্দুর রবকে (৫৫) মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের তাফালবাড়িয়া গ্রামে মোসলেম মৃধা বাড়ির উঠানে বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর গংরা এ ঘটনা ঘটায়।

সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুবলীগ সভাপতি ও দুইজন ইউপি সদস্যর উপস্থিতিতে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষককে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুর রবের বিরুদ্ধে পরীবানু নামে এক নারীকে গালমন্দ করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের পক্ষে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম মৃধা, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মনির বিশ্বাস, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল গাজী এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাফালবাড়িয়া মোনসেফ মৃধা বাড়ির উঠানে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সালিশ বৈঠকের একপর্যায়ে পরীবানুর চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন গংরা শিক্ষক আব্দুর রবের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে সালিশ বৈঠকের প্রধান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম মৃধা বলেন, সালিশ বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় শিক্ষক রবের ওপর।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, ওই শিক্ষককে চিকিৎসা নিতে বলেছি এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর বলেন, আমার স্ত্রীর পরিবার নিয়ে ওই শিক্ষক সব সময় বিরূপ মন্তব্য করেন। এ কারণে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

দশমিনা খানার ওসি মো. মেহেদি হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।