দুই বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ইন্টারনেটে

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষক দুবন্ধু ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পরিবারের কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। না পাওয়ায় একপর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।

রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার দুপুরে শিবালয় থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- শিবালয় উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের তুহিনুজ্জামান তপুর ছেলে সামিউল ইসলাম ওরফে সামি (২২) ও ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের পল্লব সরকারের ছেলে তাপস সরকার (১৯)। ওই দুই বন্ধু এক রাতে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে আটকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী জানান, গত ২ মার্চ বিকালে বাড়ি থেকে খালার বাড়ি যাচ্ছিল ওই স্কুলছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী)। শিবালয় উপজেলার টেপড়া এলাকা থেকে তার পূর্বপরিচিত সামিউল ওরফে সামি ও তার সহযোগী তাপস সরকার জোর করে তাকে রিকশায় তোলে। এরপর রাতে পৃথক স্থানে আটকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। এরপর মেয়েটির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে রেখে তাকে ভোরে টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি রিকশায় করে খালার বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনা কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুক ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় শিক্ষার্থীকে। খালার বাড়ি ফিরে এ ঘটনা ওই শিক্ষার্থী জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যায় পরিবার। কিন্তু বখাটেরা ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারো নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। দাবি করছিল টাকা ও স্বর্ণালংকার। একপর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

রোববার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।