২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪০ কোটি ডলার

দিন যত যাচ্ছে, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ততই বাড়ছে। চলতি এপ্রিল মাসের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এপ্রিল মাস শেষে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব‌্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ‌্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাধারণত সব সময় উৎসব, পার্বণকে সামনে রেখে রেমিট‌্যান্স প্রবাহ বাড়ে। ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে রেমিট‌্যান্স পাঠাচ্ছেন, এটি ইতিবাচক।’

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সারা বছরের মধ্যে দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ছে। নগদ টাকার যোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীদের এই অর্থে দেশে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনরা রমজান ও ঈদের কেনাকাটা করবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা আছে।

তারা আরও জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এখন তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে, প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১১ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ‌্যমে এসেছে ২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।

আলোচ‌্য সময়ে ইসলামী ব্যাংকের মাধ‌্যমে ৩১ কোটি ৮ লাখ ডলার রেমিট‌্যান্স এসেছে, যা একক ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ‌্যমে ১৯ কোটি ১ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ‌্যমে ৯ কোটি ৫২ লাখ ও সোনালী ব্যাংকের মাধ‌্যমে ৮ কোটি ১৩ লাখ এবং ব্যাংক এশিয়ায় মাধ‌্যমে ৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট‌্যান্স এসেছে।

এ সময়ে যেসব ব‌্যাংকের মাধ‌্যমে রেমিট‌্যান্স আসেনি, সেগুলো হলো—বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ এবং মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।