আরেক দফা বাড়ল পেঁয়াজসহ ৯ পণ্যের দাম

তেল নিয়ে তেলেসমাতি শেষ হতে না হতেই এবার পেঁয়াজসহ ৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়াও মাংস, ডিম, ডাল, চিনি, আটা-ময়দা, আদা-রসুন, আলু ও গুঁড়াদুধের দাম আরেক দফা বেড়েছে।

শনিবার (১৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে ছোট দানার যে মসুর ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বড় দানার মসুর ডাল কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি খোলা চিনি মানভেদে ২-৪ টাকা বেড়ে ৮২-৮৪ টাকায়, প্রতিকেজি খোলা আটা ২-৫ টাকা বেড়ে ৪২-৪৫ টাকায়, খোলা ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় এবং খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা আদা ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ ও ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি রসুন ২০ টাকা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে নতুন করে গরুর মাংস ও মুরগির দামও বেড়েছে। ঈদের আগে ৭০০ টাকা কেজিদরে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন তা ৭২০ টাকায় এবং কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

শুধ তাই নয়, বেড়েছে ডিমের দামও। প্রতি হালি ডিম এক সপ্তাহ আগে ৩৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানিভেদে প্রতিকেজি গুঁড়াদুধ ৬৫০-৬৯০ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৯০-৭৫০ টাকায়।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পণ্যের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এখন আর কোনও ইস্যু লাগে না। তারা চাইলেই পণ্য মজুত করার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেন।

তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের জন্য তাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। পণ্য আমদানিতে খচর বেড়ে যাওয়ায় তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আর দেশি পণ্যের ক্ষেত্রে চাষি, ফড়িয়া, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারাও পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন।