শিল্পার অজানা গল্প

মাতৃত্ব নিয়ে কঠিন সময় কেটেছে শিল্পা শেঠির। তার মতো একজন স্বাস্থ্যসচেতন নায়িকারও শারীরিক জটিলতা? অবাক হয়েছিলেন শিল্পা নিজেই। কিন্তু শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখলেও বিরল রোগে আক্রান্ত রাজ কুন্দ্রার স্ত্রী। তার ফলে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি শিল্পাকে। নায়িকার এ অজানা গল্প তিনি নিজেই জানিয়েছেন। শিল্পার ৩০ বছর বয়সের পর তিনি আর রাজ সিদ্ধান্ত নেন, তারা অভিভাবক হবেন। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়। অন্তঃসত্ত্বাও হন। কিন্তু গর্ভপাত হয়ে যায় শিল্পার। একবার নয়, দু’বার

চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিল্পা অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত মহিলারা সহজে অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন না।
নায়িকা এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানানোর সময়ে বলেছিলেন, মাত্র দুই শতাংশ মহিলারা এই রোগে আক্রান্ত হন। আমি তাদের মধ্যেই একজন। হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মা হতে চাইছিলাম, কিন্তু মা না হতে পারার যন্ত্রণায় ভুগছিলাম।
এর পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, পরের বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময়ে তাকে টানা সাড়ে সাত মাস ধরে ইঞ্জেকশন নিতে হয়। মা হওয়ার ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে সেই কষ্ট সহ্য করেন শিল্পা। শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল।
২০১২ সালে ছেলে ভিয়ানের জন্ম দিয়েছিলেন শিল্পা। তার পরে ২০২০ সালে দ্বিতীয় সন্তান কন্যা শমিশার জন্ম হয় সারোগেসির সাহায্যে, ভিয়ানের জন্মের পর শিল্পা চাইতেন, তার ছেলের ভাই বা বোন হোক। তাহলে মিলেমিশে ভালো থাকবে সন্তান। কিন্তু শারীরিক জটিলতার কারণে নিজের শরীরে সন্তান ধারণ করার সাহস পাননি সেবার। তাই সারোগেসির সাহায্যেই ভিয়ান এখন বড় ভাই।