করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ রোল মডেল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিকাদান কার্যক্রম এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান এবং সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রায় এক কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া। আজ থেকে সারা দেশে ১৬ হাজার ৬৫০টি কেন্দ্রে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের বিশেষ কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ টিকাদান কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণ সফলতার সঙ্গে চলমান আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে কোভিড নিয়ন্ত্রণের কারণে দেশে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। দেশে অর্থনীতিসহ চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা আরও ভালো রাখতে চাই।

জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৮৭ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৭৭ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় দেড় কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজকে ১৬ হাজার ৬৫০টি কেন্দ্রে এই বুস্টার ডোজের বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৮৫ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। সবাইকে এ টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আমাদের দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। টিকা নিতে আমাদের দেশে কোথাও কোনো সমস্য হয়নি। টিকা নেওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর আমরা আরও সুরক্ষিত হব। যাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময় হয়েছে তারা দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাক্তার সামিউল হক, পরিচালক এমএসমসি অ্যান্ড এইচ ডাক্তার শামছুল হক, পরিচালক স্বাস্থ্য ঢাকা বিভাগ ডাক্তার ফরিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র রমজান আলী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. বজলুল করিম চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।