মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ব্যক্তি অবরুদ্ধ, উদ্ধার করল পুলিশ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙায় মহানবি (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় শতশত উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে সুলতান আরেফিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে সাদুলস্নাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গোটা গাইবান্ধায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সুলতান আরেফিন মিয়া নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় সোনার বাংলা নামে একটি স্কুলের পরিচালক।

স্থানীয় নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সুলতান আরেফিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে অবরোধ করে রাখে স্থানীয় মুসুলমানরা।

তিনি আরও জানান, এই আরেফিন বিভিন্ন সময় মহানবী (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এরই জেরে সকালের দিকে স্থানীয় জনতা নলডাঙ্গা বাজারে তার বাড়ি ঘেরাও করে এবং আগুন ধরিয়ে দিতে যায়। পরে তিনি সেখানে যান এবং সব মুসলমানদের কাছে আরেফিন ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু দুপুরে শতশত বিক্ষুব্ধ জনতা আবারও তাকে অবরুদ্ধ করে। এসময় নলডাঙ্গা বাজারের দু'পাশের রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা আরেফিনের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ, সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসন ঘটনা স্থলে এসে আরেফিনকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ মিয়া জানিয়েছেন, আরেফিন নামের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর নিরাপত্তার কারণে গাইবান্ধা সদর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা কিংবা পরবর্তী সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিবেন।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মহানবি (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার খবরে বিক্ষুব্ধ মুসুল্লিগণ সুলতান আরেফিন নামে এক ব্যক্তিকে অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। আরেফিন এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।