নন্দিত সিলেট
জুন ১৮, ২০২২
৬:৩১ অপরাহ্ন
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের তিন উপজেলার কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহতভাবে বাড়ছে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি।
কুশিয়ারা নদীতে শেরপুর পয়েন্টে ইতোমধ্যেই বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বালুর বস্তা নিয়ে নদীর বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, আজমিরীগঞ্জের নিকলী ঢালা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলারও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর, রাধাপুর, দিঘলবাগ ও দুর্গাপুর এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। আউশকান্দি ও দিঘলবাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। তবে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভাঙলে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বালুর বস্তা দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছি বাঁধ রক্ষার। তবে সবাই সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, বিভিন্ন উপজেলার বন্যাকবলিতদের জন্য ইতোমধ্যে শুকনো খাবারের প্যাকেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গতদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।