যা যা করা নিষেধ পদ্মা সেতুর ওপরে

যা যা করা নিষেধ পদ্মা সেতুর ওপরে

রাত পোহালেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। বহুকাল থেকে দেখে আসা স্বপ্ন রূপ নেবে বাস্তবে। সেতুর ওপর দিয়ে কয়েক মিনিটেই দেওয়া যাবে প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি।

এ নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন পদ্মাপাড়ের আশপাশ থেকে শুরু করে দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ।

তবে এ উচ্ছ্বাসের মধ্যেই সর্বোচ্চ খেয়াল পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার।

এ জন্য এটি ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা পালনে কড়াকড়ি আরোপ করবে সড়ক পরিবহণ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার এক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জারি করা নির্শদেনায় বলা হয়— ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে সরকার নির্ধারিত টোল প্রদান সাপেক্ষে সেতু পারাপার হওয়া যাবে।

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে যেসব নিয়ম মানতে হবে—

১. পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।

২. পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা/হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।

৩. বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে, তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি), পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না।

৪. গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না।

৫. সেতুর ওপরে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।

পদ্মা সেতু একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা, বিধায় সেতু পারাপারে সর্বসাধারণকে উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সড়ক ও সেতুর ক্ষতি কমাতে নির্ধারিত ওজনসীমা মেনে চলারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন পার হবে এ সেতু দিয়ে। এতে উপকারভোগী হবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার তিন কোটি মানুষ।