বন্যা কবলিত অধিকাংশ মানুষের কাছে সরকারের কোনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি বলে দাবি করেছে ৭ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
জোটের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেহাই প্রচার সর্বস্ব। বন্যাপীড়িত অঞ্চলে সরকারি দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্যসহ তাদের নেতৃবৃন্দ অনুপস্থিত। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে জরুরীভিত্তিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে নেতারা।
রোববার সকালে পল্টনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক রূপরেখা নীতিগতভাবে গৃহীত হয়।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু’র সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদ উর রহমান।
আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমান রিজু,বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আবুল হাসান রুবেল, মনিরুদ্দিন পাপপু, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, জিল্লুর চৌধুরী জিতু, হাবিবুর রহমান, সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে হাবিবুর রহমান রিজু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় গৃহীত প্রস্তাবে দেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যাপীড়িত লাখ লাখ পরিবারের চরম দুর্দশায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয় বন্যায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন পরিবারের নারী ও শিশুরা। সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বন্যা কবলিত কিছু এলাকার পানি কমে যাওয়ায় বন্যা কবলিতরা নতুন বিপদে পড়েছেন। অধিকাংশ পরিবারের এখন বাসযোগ্য ঘর নেই, খাবার নেই, নগদ টাকাও নেই।
প্রস্তাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে জরুরী ভিত্তিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে বন্যা দুর্গতদের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য