টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে টাকা ছিনতাইয়ের জন্য বন্ধুকে হত্যার দায়ে মো. বাহার নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ সময় তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিমউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বাহার পলাতক। রায়ের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

দণ্ডিত বাহার সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন খন্দকারের ছেলে। ভিকটিম আবদুর রব রাসেল একই গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাহার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাহার ও ভিকটিম আবদুর রব রাসেল বন্ধু ছিলেন। রাসেল বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। এতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পাশের চরমোহাম্মদপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে হেঁটেই রওনা দেন।

পথিমধ্যে বসুদহিতা গ্রামে পৌঁছলে বাহার পেছন থেকে লোহার চার্জার লাইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে রাসেল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে টাকা নিয়ে বাহার পালিয়ে যায়। পর দিন সকালে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রায় দুই মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ নেওয়ার পথে বাহার মারা যান। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি চন্দ্রগঞ্জ বাহারের মা আমেনা বেগমের লিখিত অভিযোগটি পরবর্তী সময় হত্যা মামলায় রুজু হয়।

তদন্ত শেষে ওই মামলায় বাহারের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পুষ্প বরণ চাকমা ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বাহারের অনুপস্থিতিতে রায় দেন।