হবিগঞ্জে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

হবিগঞ্জে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের (দুই পঞ্চায়েতের মুরব্বিদের) জেরে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজন নিহত ও মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জ শহরতলীর বানিয়াচং উপজেলাধীন আলমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের আমির আলীর ছেলে মামুন মিয়া (৪৫)। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, দুই গোষ্ঠীর এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। দীর্ঘ চেষ্টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হাঙ্গামাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আলমপুর গ্রামে একাধিক পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মাঝে উত্তরাংশ পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক ইউপি মেম্বার ফরিদ মিয়া, বর্তমান মেম্বার আব্দুস সাত্তার ও রিপন মিয়া এবং নয়াবাড়ি পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেম্বার কাজল, মনিরুল ইসলাম এখলাছ, আব্দুল আলী। উভয় পঞ্চায়েতের মধ্যে বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকালে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দেসহ হবিগঞ্জ সদর থানা ও বানিয়াচং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। সংঘর্ষে মামুন মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।