শিক্ষার্থী নেই তবুও এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়!

শিক্ষার্থী নেই তবুও এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়!

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকলেও গত জুন মাসে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। একটি ভূতুড়ে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অসিত বরন হাওলাদার কয়েকবছর ধরে বগা ইউনিয়ন বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নিয়মানুযায়ী অন্য কোনো বিদ্যালয়ের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার বিধান নেই। নতুন ওই বিদ্যালয়ে তার স্ত্রী বিথিকা রানী হাওলাদারকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে ৪-৫ জন করে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। অষ্টম শ্রেণির ক্লাশে দেখা যায়, অন্য বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির ৮ জন শিক্ষার্থীকে একত্রে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এক শিক্ষক। এমপিওভুক্ত হওয়ার শর্ত হলো প্রত্যেক শ্রেণিতে কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে- গত জুন মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে গ্রামের কিছু দরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে শ্রেণি কার্যক্রম সচল দেখানো হচ্ছে। যদিও শিক্ষকরা দাবি করেছেন, এসব শিক্ষার্থী তাদের বিদ্যালয়ের। অবশ্য তখন শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে শিক্ষকরা তা দেখাতে পারেননি।

এছাড়া এমপিওভুক্ত হওয়ার শর্ত হল বিদ্যালয়ে একটি খেলার মাঠ থাকতে হবে। নিজস্ব জমি থাকতে হবে। কাগজে কলমে জমি থাকলেও বাস্তবে এই বিদ্যালয়ের দখলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি নেই।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অসিত বরণ হাওলাদার বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই বিদ্যালয় পরিচালনা করছি।

বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, অনলাইনে সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে নিয়মানুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।